ডিভি লটারি কি?
ডিভি লটারি কি, সেটা বলার কোন প্রয়োজনিয়তা আছে বলে আমার মনে হয়না। তারপরেও, মুল কথায় যাবার আগে, একলাইনে বলে দিচ্ছি ডিভি লটারি জিনিসটা কি। আমেরিকান সরকার, সময়ে সময়ে লটারির মাধ্যত্ আমেরিকান নাগরিকত্ব প্রদান করে থাকে। এই লটারিতে যারা জয়ী হন, তাদেরকে প্রায় বিনামুল্যে আমেরিকান সরকার কর্তৃক আমেরিকাতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নাগরিকত্ব দিয়ে কাজের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সমগ্র প্রকৃয়াটি সম্পন্য হয় একটি লটারির মাধ্যমে। আর এই লটারির নাম ‘ডিভি লটারি’।
কি এমন বিশেষ এটা?
ডিভি লটারিতে জয়লাভ করা খুবই ভাগ্যের একটা ব্যাপার। যারা আজ পর্যন্ত ডিভি লটারিতে জয়লাভ করে আমেরিকাতে গিয়েছেন, তাদেরকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আমার পরিচিত কিছু ফকির মিসকিন, চা স্টলের বিক্রেতা এই ডিভি লটারি পেয়ে আমেরিকাতে বসবাস করছেন। এরা সবাই এখন শত শত কোটি টাকার মালিক।
কখন হয়?
ডিভি লটারি সাধারনত বছরে ১ বার হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে দেড় থেকে দুই বছর পরপর হয়। ইন্টারনেট আসার পর থেকে ঘরে বসে যে কেউ ডিভি লটারিতে আবেদনের নিয়ম আছে। কিন্তু তারও আগে, যখন ইন্টারনেট ছিলনা, তখন ডিভি লটারিতে আবেদন নিয়ে সারাদেশে মারাত্নক একটা হুলোস্থুল পড়ে যেত। সে যে কি রকম হুলোস্থুল, সেটা নিজের চোখে না দেখলে কেউ ধারনা করে কুলিয়ে উঠতে পারবেনা!
নির্বাচনের সময় যেরকম হইচই না হত, তার চেয়ে বেশি হইচই পড়ে যেত এই ডিভি লটারি নিয়ে।
ইন্টারনেটের আগের ডিভি লটারির সিস্টেম নিয়ে কিছু নস্টাকজিক কথাঃ
সামাজিকতা, মানসিকতা, স্টাইল, সিস্টেম এবং প্রকৃয়া সবই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ইন্টারনেট আসার পরে। ডিভি লটারির ক্ষেত্রেও এই চেঞ্জ এর ছোয়া লেগেছে- সেটা বলাই বাহুল্য। ডিভি লটারি আমাদের দেশের ১০ টাকা মুল্যের লটারির টিকেট কেনার মত নয়। এই লটারি একটু ভিন্ন টাইপের একটা লটারি। এই লটারির জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। ঠিক যেমন চাকরির জন্য আপনারা আবেদন জমা দেন, সেরকম ব্যাপারটা। আগে যখন সব এনালগ ভিত্তিক ছিল তখন আমেরিকা থেকে ডিভি লটারিতে আবদন করার ফর্ম পাঠানো হত। এটা বিনামুল্যেই বিরতন করার নিয়ম থাকলেও, ১০ টাক থেকে ১০০ টাকাতে এই ফর্ম বিক্রি করত কিছু দালাল চক্র। এরা প্রতিবছর এই ডিভি লটারি শুরুর জন্য অপেক্ষা করত আর ফর্ম বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করত।
যাই হোক, সেই আগের দিনের ডিভিতে আবেদনের কথাতে ফিরে যাই। তখন সেই আমেরিকা থেকে ফ্রিতে আসা ফর্ম নিয়ে ফিল আপ করে জমা দিতে হত নির্দিস্ট অফিসে অথবা কতিপয় লোকের কাছে। তারা সেই ফর্ম নিয়ে পাঠিয়ে দিত আমেরিকাতে। সমগ্র প্রকৃয়াটিই সম্পন্য হত সম্পুর্ন বিনামুল্যে (যদিও সবাই টাকা খরচ করত শুধুশুধু)।
ইন্টারনেট আসার পরের ডিভি লটারিঃ
ইন্টারনেট আসার পরে সেই সব দালাল চক্র; যারা ফ্রিতে পাওয়া ফর্ম ১০ থেকে ১০০ টাকাতে বিক্রি করত, তারা বলতে গেলে প্রায় ফকির হয়ে গেল। কিছু কিছু দালাল আছে, যারা অনেকেদিন পর্যন্ত ফার্মগেটের ব্রিজের উপর ভিক্ষা করত। যাই হোক, সেই সব চোর দালাল ভিক্ষুকের আলোচনাতে যাচ্ছিনা।
ইন্টারনেট যখন সবার কাছে ছড়িয়ে পড়ল, তখন আমেরিকান সরকার, অনলাইনে আবেদন ফর্ম পাবলিশ করে দিল। যে কেউ সেই অনলাইন ফর্ম ফিলাপ করে মিনিটের মধ্যে পাঠিয়ে দেবার সুযোগ পেয়ে গেল, ঠিক যেন আলাউদ্দিনের আশ্চর্য চেরাগ! সবাই খুব খুশি। কিন্তু এই খুশি টিকলো না একেবারেই। ঘটে গেল দুঃখজনক ঘটনা।
সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এই DV লটারি নিয়েঃ
গত কয়েক বছর আগে সবচেয়ে খারাপ খরবটি প্রকাশ করলো আমেরিকান সরকার। তারা বাংলাদেশকে জানিয়ে দিল যে, বাংলাদেশ থেকে তারা আর ডিভি লটারির মাধ্যমে লোক নিবেনা।
তাই, যদি কেউ আপনাকে ডিভি লটারির কথা বলে সাহায্য করার চেস্টা করে, তাহলে জেনে রাখুন, ডিভি লটারি বলতে এখন বাংলাদেশ কিছু নেই। যারা সাহায্য করার চেস্টা করবে তারা একেবারে জেনুইন প্রতারক। আশা করি এই আর্টিকেলটা পড়ার পর, কেউ প্রতারনার শিকার হবেন না।
সতর্ক থাকুন। অন্যকে জানিয়ে দিয়ে সতর্ক হতে বলুন। সাবধানে জীবন যাপন করুন। ধন্যবাদ।
I want DV lottery.
I agree to job and how to apply in this job,and others opportunity the Mobile company,,,
Name :Dipu kumar roy.
Father : jitendranath roy
Mother:Bharati rani roy.
Date of Barth:02/01/1997
jilla :Nilphamari
S S C, :4.00 /2014
H S C: 4.00. /2016
I don’t know how to join me dv lottery … please say me… haw join the dv lottery programme
Good
Call me .01764299675
MDR RIPON.im now bangladesh
My contact member 008801784648755
008801821419860